Branch :
tittle-image

10 Oct

‘’স্তন ক্যান্সার বিষয়ক সেমিনার এপিক হেলথ কেয়ারে'' তরুণী এবং প্রাপ্তবয়স্ক নারীদের স্তন ক্যান্সার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিতে উদ্যোগ নিয়েছে এপিক হেলথ কেয়ার।

 
 

এপিক হেলথ কেয়ারের উদ্যোগ: তরুণী ও প্রাপ্তবয়স্ক নারীদের স্তন ক্যান্সার সচেতনতা বৃদ্ধির সেমিনার প্রোগ্রাম

বর্তমান সময়ে নারীদের স্তন ক্যান্সার একটি গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, বিশেষত বাংলাদেশের মতো দেশে যেখানে রোগ শনাক্তকরণের হার তুলনামূলকভাবে কম। স্তন ক্যান্সারের কারণে প্রতিবছর লাখ লাখ নারী আক্রান্ত হচ্ছেন, এবং চিকিৎসার অভাবে অনেকেই প্রাণ হারাচ্ছেন। এই বাস্তবতা উপলব্ধি করে এপিক হেলথ কেয়ার তরুণী ও প্রাপ্তবয়স্ক নারীদের স্তন ক্যান্সার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে একটি মহৎ উদ্যোগ নিয়েছে।

সম্প্রতি এপিক হেলথ কেয়ারের কনফারেন্স রুমে নারী কর্মীদের নিয়ে আয়োজিত এক সচেতনতামূলক সেমিনার প্রোগ্রামে ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ডাঃ ফাহমিদা আলম গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি বলেন, “প্রতি বছর স্তন ক্যান্সার লক্ষ লক্ষ নারীকে আক্রান্ত করে কিন্তু সচেতনতা, প্রাথমিক শনাক্তকরণ এবং সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে অসংখ্য জীবন বাঁচানো সম্ভব।” ডাঃ ফাহমিদা আরও উল্লেখ করেন যে, প্রাথমিক স্তরে ক্যান্সার শনাক্ত করা গেলে এর চিকিৎসা অনেক বেশি কার্যকর হয় এবং দীর্ঘমেয়াদে রোগীর বেঁচে থাকার সম্ভাবনা বাড়ে। এই কারণে, নারীদের নিজস্ব স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা ও নিয়মিত স্ক্রিনিং অত্যন্ত জরুরি।

এপিক হেলথ কেয়ারের এই উদ্যোগের পিছনে মূল লক্ষ্য ছিল নারীদের মধ্যে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি, প্রাথমিক লক্ষণ এবং এর চিকিৎসা সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করা। মানব সম্পদ ও প্রশাসন বিভাগের ডিরেক্টর তহমিনা মরিয়ম এই উদ্যোগ সম্পর্কে বলেন, “এই আয়োজনের উদ্দেশ্য হলো সবাইকে সচেতন করা এবং প্রাথমিক ধাপগুলোতে এই রোগ শনাক্ত করতে সাহায্য করা। প্রাথমিকভাবে যদি ক্যান্সার শনাক্ত করা যায়, তাহলে চিকিৎসা সহজ এবং কার্যকর হয়, যা রোগীর সুস্থ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা বাড়ায়।”

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে প্রতি আটজন নারীর মধ্যে একজন জীবনের কোনো না কোনো সময়ে স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকেন। বাংলাদেশেও এই রোগের প্রকোপ কম নয়। প্রতিবছর এ দেশে অসংখ্য নারী স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করছেন, তবে সময়মতো সচেতনতা এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করলে এই সংখ্যা কমানো সম্ভব। এপিক হেলথ কেয়ার সেই সচেতনতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যেই এ ধরনের সেমিনার ও স্ক্রিনিং প্রোগ্রাম আয়োজন করে যাচ্ছে।

এই আয়োজনের সহযোগী ছিল বীকন ফার্মাসিউটিক্যালস এবং এতে উপস্থিত ছিলেন কর্পোরেট বিজনেস ও ব্র্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের আনিসুল ইসলাম, জহির রায়হান, হাবিবা হক, সাইফুল ইসলামসহ আরও অনেক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। সেমিনারের মূল লক্ষ্য ছিল স্তন ক্যান্সার সম্পর্কে নারীদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করা এবং কিভাবে প্রাথমিকভাবে এই রোগ শনাক্ত করা যায় সে সম্পর্কে ধারণা দেওয়া।

এ ধরনের সেমিনার আয়োজন নারীদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে এবং তাদের জীবনের মূল্যবান সময়ে সঠিক চিকিৎসা গ্রহণে সহায়ক ভূমিকা রাখে। এপিক হেলথ কেয়ারের এ উদ্যোগ নিঃসন্দেহে একটি প্রশংসনীয় পদক্ষেপ, যা ভবিষ্যতে নারীদের স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ এবং এর চিকিৎসা সহজতর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

কর্পোরেট বিজনেস ও ব্র্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগ, মানব সম্পদ বিভাগের যৌথ আয়োজনে উর্ধতন উপস্থিত ছিলেন আনিসুল ইসলাম, জহির রায়হান, হাবিবা হক, সাইফুল ইসলাম প্রমুখ ও সহযোগী ছিল বীকন ফার্মাসিউটিক্যালস।

স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে যা করতে পারেন:

  • নিয়মিতভাবে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো
  • স্তন ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণ সম্পর্কে সচেতন থাকা
  • স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাপন পদ্ধতি অনুসরণ করা
  • ক্যান্সার স্ক্রিনিং প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করা

এ ধরনের সচেতনতামূলক আয়োজন নারীদের জন্য সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা পাওয়ার একটি বড় সুযোগ তৈরি করে।

 

Recent News